ঢাকা, রবিবার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশ চলে উল্টোপথে (ভিডিও)

আদিত্য মামুন

প্রকাশিত : ১১:১০, ৩ আগস্ট ২০২৩ | আপডেট: ১১:১৩, ৩ আগস্ট ২০২৩

মোশতাক-জিয়ার অনুগতরা যেদিন ৩২ নম্বরে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালায়, সেদিন শেখ হাসিনা আর শেখ রেহানা ছিলেন দেশের বাইরে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান দুই বোন। জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর উল্টোপথে চলা দেশ আজ উন্নয়ন আর সমৃদ্ধির রোল মডেল। আর এটি সম্ভবই হয়েছে শুধু শেখ হাসিনার বীরোচিত ভূমিকার কারণে। 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। বিভীষিকাময় রাতে বিপথগামী সেনা কর্মকর্তারা হত্যা করে বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের প্রায় সবাইকে।

বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা তখন স্বামী-সন্তানসহ অবস্থান করছিলেন বেলজিয়ামে। সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা। নিরাপত্তার কারণে তাঁরা আশ্রয় নেন ভারতে। 

দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। যখন ইনডেমনিটির মতো অন্ধকার এক কালা কানুন চলছিল বাংলাদেশে।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার অর্থ বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধকে হত্যা করা, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করা, গণতন্ত্রকে হত্যা করা। সেই কাজগুলো তারা করেছে একের পর এক। সে কাজগুলোর করার জন্য প্রথমে যেটা দরকার ছিল তারা হত্যা করেছে তাদেরকে যেন কোনো বিচারের আওতায় না আনা যায়। তাদের জন্য দায়মুক্তি দেয়া, ইনডেমিনিটি আইন সংবিধানে সংযুক্ত করা- এগুলো তো আমরা একের পর এক দেখেছি। এগুলো জাতি হিসেবে কত লজ্জিত-অপমানিত করেছে সেটা আমরা বুঝতে পারি।”

স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়তে বঙ্গবন্ধু যদি বছর দশেক সময় পেতেন তাহলে বাংলাদেশের সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়তো দিকদ্বিক।

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “বঙ্গবন্ধু নিজের জীবদশায় বলে গেছেন যে, আমি স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, স্বাধীন বাংলাদেশ গড়েছি, আমার স্বপ্ন সুফল হয়েছে। এখন আমার স্বপ্ন এই স্বাধীন বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তর করা এবং সোনার বাংলায় রূপান্তর করতে চাই। সোনার বাংলায় রূপান্তর করতে হলে সোনার মানুষ চাই।”

শেখ হাসিনা বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই আজকে বাংলাদেশ পেল কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মে. জে. এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব:) বলেন, “বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রাজনীতির হাল ধরেন এবং সেই রাজনীতির অর্ধের ১৫ বছরে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নতি ঘটেছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দরবারে সম্ভাবনাময় দেশের নাম।”

বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথরেখা ধরে সবাইকে এগিয়ে চলার পরামর্শ দেন রাজনীতিক বিশ্লেষকেরা।

মে. জে. এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব:) বলেন, “যে রাজনীতি  ১৯৭৫ সালের পরে শুরু হয়েছিল সেই রাজনীতি বাংলাদেশকে কোথায় নিযে যাচ্ছিল সেটা ২০০১ থেকে ২০০৬ মেয়াদে দেখেছি। তখন জামায়াত-বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন অবস্থায় সারাবিশ্বের বড় বড় গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং যারা গবেষক রয়েছেন তারা বলছিলেন যে বাংলাদেশ হবে পরবর্তী আফগানিস্তান। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বিএনপি সেই হত্যাকাণ্ড রাজনীতি থেকে এখনও বের হতে পারেনি।”

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি